আগন্তুক

- এই,এই অতন্দ্রী,ওঠো। বাইরে একটা উপহার আছে,দেখবে চলো।
অতন্দ্রী
মাথা নেড়ে প্রস্তাবনা নাকচ করতেই টের পেলো,তাকে কেউ বিছানা থেকে তুলে নিয়েছে। পরে যাওয়ার
ভয়ে হকচকিয়ে চোখ মেলে তাকাতেই তাকে দেখতে পেলো। গায়ের গন্ধ টা যে দারুণ পরিচিত।
নিশ্চিন্তে তার কাঁধ জড়িয়ে ধরলো অতন্দ্রী।
সেই
পরিচিত গন্ধের মালিক তাকে বসিয়ে দিলো ব্যালকনির আরামকেদারায়। অতন্দ্রীর ঘুমের রেশ
তখনও কাটেনি। পরক্ষণেই ভেসে এলো মিস্টি কোনো গন্ধ। নাকের সামনে কেউ একজন ধোঁয়া ওঠা
কফির মগ ধরে রেখেছে। হাত বাড়িয়ে তাতে চুমুক দিলো সে। ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসিই বলে
দিচ্ছে কফি টা বেশ হয়েছে..!!
সেই
কেউ একজনের দিকে এবার যত্নের চোখ মেলে তাকালো অতন্দ্রী। লোকটা দারুণ শুকিয়ে গেছে
বটে,কিন্তু চেহারাতে এখনও দারুণ এক ঔজ্জ্বল্য বিরাজ করছে। অতন্দ্রী
বুঝতে পারছেনা,আজ কেনো এমনটা ঘটলো। আজ তো জ্যোছনা নেই,অমাবস্যার
প্রহর চলছে। লোকটা তর্জনী দিয়ে ব্যালকনির বাইরে কি যেনো দেখালো।
অতন্দ্রী
ব্যালকনীর বাইরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে গেলো। মাঠ-ঘাট বিস্তীর্ণ
প্রান্তর যে আলোয় পরিপূর্ণ। লক্ষ লক্ষ জোনাকিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে সে প্রান্তরজুড়ে।
কোথা থেকে এলো এত জোনাকি? তার নেশা নেশা লাগছে। অতন্দ্রী এই অপার সৌন্দর্য
থেকে চোখ সরাতে পারছেনা। ধীরে ধীরে সময় কেটে যাচ্ছে।
জোনাকির দল
একসময় তাদের আলো নিভিয়ে দিলো। ঘরে ফেরার সময় হয়েছে যে। অতন্দ্রীরও নেশা কেটে গেছে।
চোখ মেলতেই সেই লোকটাকে খুঁজতে শুরু করলো প্রতিবারের মত। আজও তাকে পাওয়া গেলো না।
সে
যে চলে গেছে..!!
Comments
Post a Comment