সন্ধ্যাবতীর আগমন
তুমি
এলে,ঠিক আমার সামনেই বসলে। মুখোমুখি নয়,আমার দিকে পিঠ রেখে।
সেদিন
তুমি শাড়ি পড়েছিলে। সূর্যাস্ত রংয়া শাড়ি। আমি চশমা পরি,রং
চিনিনা। অন্য রংও হতে পারে। তবে আমি মিলিয়েছিলাম সেই রং। সময়টা যে সূর্যাস্তের
আগমুহূর্তে ছিলো।
আমরা
মহাসড়ক ধরে ছুটে চলছিলাম। ডানেই সূর্য অস্ত যাচ্ছিলো। তুমি চোখ মেলে দেখেছিলে কিনা
জানিনে। তবে,আমি অপলক দৃষ্টিতে চেয়েছিলাম,হাজার
দিনের মত। কেননা,এমন কোনো সময়েই তো সন্ধ্যাবতীর আসার কথা।
কিন্তু,আমার
দৃষ্টি দিগন্ত পেরোতে পারলোনা যে? বাতাস যে বিপরীতমুখী ছিলো। তোমার মাথায় খোঁপা
ছিলো না,ছিলো এক গোছা ঘন কালো দীঘল চুল। বাতাসের তীব্র প্রবাহে সে চুল আমার
মুখের উপর আছড়ে পরছিলো। সেদিন কোনো মেঘ ডাকেনি,তবুও আমি বাজ পরার মত
শিউরে উঠেছিলাম।
বলতে
দ্বিধা নেই,আমি বুক ভরে শ্বাস নিয়েছিলাম। সে শ্বাসে অনুভব
করেছিলাম সদ্য স্নান করে ফেরা কোনো দেবীর ভেজা চুলের গন্ধ। বাতাসের স্রোত তীব্রতর
হলো,আমি চোখ বুজলাম আরো তীব্রভাবে শ্বাস নিতে। আমি দারুণ ভয় পেয়েছিলাম,হিসেব
মিলছিলোনা। তাহলে কি তুমিই আমার সন্ধ্যাবতী?
আমি উত্তর জানিনে। আমার কোনো সত্য
নেই,তাই উত্তরও নেই।
আমার
ফুসফুসে রোগ বেঁধেছে। আর একটিবার ভেজা চুল নিয়ে বাতাসের বিপরীতে দাড়াবে কি? আমি
শেষবারের মত তীব্রভাবে শ্বাস নেবো। তারপর না হয় কোনো এক সন্ধ্যায় তোমার আগেই
হাওয়ায় মিলিয়ে যাবো? জানি,তুমি আসবেনা। মিথ্যাবাদীদের অনুরোধ গ্রাহ্য হয়
না,আমারটাও হবেনা।
একটা
সত্য কথা শুনবে? যখন তোমার ভেজা চুল আমার মুখে আছড়ে পরছিলো,আমার
ভীষণ ইচ্ছে করছিলো তোমার ঘাড়ে আলতো একটা চুমু খেতে..!!
Comments
Post a Comment