কথোপকথন
- মুয়িদ সাহেব,কি খবর? চলো,পাশা
খেলতে যাই।
- আমি কি আর ওসব রাজ রাজরার খেলা পারি ভাই?
- তাতে কি?
তুমি নিজেই কি রাজা নও?
- আমি বোধহীন,রাজা কোন এ্যাঙ্গেলে কও?
- হবে না ক্যান? নীল কুঠিরে ঠাঁই তো
তোমারই।
- সুখের ঠাঁই কই? সারাটা দিন হৈ চৈ..!!
- কিসের হৈ চৈ? দীনবন্ধু মিত্র কি এখনও
চিল্লাইতেছে?
- তার তো কাজ গাছে গাছে। নস্যি তো আমি প্রেয়সীর
কাছে।
- গিয়েছিলে শেষ কবে..!! আর কি দেখা হবে?
- পৃথিবীটা গোল,হয়তো ধারে কাছেই রবে।
- থাকতেও পারে,দেখবে নাকি আরেকবার
খুঁজে?
- বাদ দাও,সে কি আর এসব বুঝে..!!
- বয়সের দোষ। আকাশ দ্যাখো,ঝড়
আসবে।
- আসুক,ভদ্রতার খাতিরে তুলো মেঘও কাশবে।
- আমি তো তুলো মেঘ নই। বৃষ্টিতে কি করবো এখন?
- জানতেই যদি রূপসী,বের হয়েছিলে কেন তখন?
- খদ্দের ছিলোনা। শূন্য ঘরে মনও টেকেনা।
- বুঝেছি। কিন্তু ঘাড়ে যে আমার বিরাট দেনা..!!
- তোমার কথা আলাদা। আমায় শুধু বাঁচতে শিখিও। নীল
কুঠিরে কি যাওয়া যাবে?
- সত্যিই যাবে? চলো তাহলে? আজ
রাতে না হয় পাশা খেলেই আসবে।
আমার
বোধহীন মস্তিষ্ক,কুঁড়ে কুঁড়ে খায় সব অস্তিত্ব...যে
অস্তিত্ব মহাশূন্যে ভাসে...
- অতঃপর,মুয়িদ সাহেব,পাশা খেলা কেমন হলো?
- হয়েছে বটে,আমি বোধহীন। গল্পকারের গল্পে ধূলো।
- তা তো হওয়ারই কথা। চামড়াটাই তো দেখে লোকে।
- থাকে সবাই বশের ঝোঁকে,ভেতর
কি আর দেখে চোখে?
- ভেবেছিলাম তুমি দেখবে,চোখ
ফিরিয়েও দেখোনি।
- যৌনতাই সব। কেনো,জ্যোছনা গায়ে মাখোনি?
- উজ্জ্বল দেহ,জ্যোছনা লাগে না। ইশ,যদি
চামড়াবিহীন হতাম..!!
- বিচ্ছিরি হতো,তাহলে কি আর তোমায় পেতাম?
- অঙ্গগুলোতো থাকতো ভালই। পারতেনা? অবসরে
সাধ জাগে।
- ওসব দেখলে সবাই ভাগে। আমায় কি ন্যাক্রোমেন্টিক
লাগে?
- তবে কেনো শক্তি ফলাও? আমার
যে তাতে স্বপ্ন মরে..
- ধূর ছাই,ওসব স্বপ্ন ঝড়েও ওড়ে।
- খুব তো তুমি প্রগতিশীল। তারপরেও আমায় নির্যাতন?
- ওসব তো চাপার জোর,সমাজটাই জ্বালাতন।
- হায় কপাল...!!
সুশীলও এখন আমার কাছে।
- তুমি বোকা। ঢের বোকা। নিরাপত্তা চাও পশুর কাছে।
নির্লিপ্তমা,ছায়াপথ
ব্যতীত ধরনীতে তোমার স্থান নেই। পশুরা তোমায় খুবলে খাবে...
Comments
Post a Comment