অবাক জ্যোছনা

তুমি সেই মুহূর্তে আমার পাশে থাকো বা নাই থাকো,আমি প্রচন্ড জোরে চিৎকার করে আমার সমস্ত গোপন কথা প্রকৃতিকে বলে দেবো। শোঁ শোঁ করে কেটে যাওয়া বাতাস তার প্রতিউত্তর দেবে। হয়তো সে উত্তরে তীব্র ঘেন্না জমে থাকবে। আমি পরোয়া করবো না।
কেননা,উর্ধ্বাকাশে যখনই আমি তাকাবো,মেঘ সরে যাবে সেখান থেকে। আমার মত বেহায়া মেঘ থাকবে কয়েকটা যারা মোটেও পাত্তা দেয়না কাউকে। কিন্তু,মেঘগুলো ভারী সুন্দর হবে,সাদা পালকের মত ভেসে বেড়াবে আকাশময়।
তুমি যদি তখন আমার হাত ধরে থাকো,কথা দিচ্ছি,তোমায় নিয়ে আমি দাড়াবো কোনো উন্মুক্ত প্রান্তরে। নগ্ন পায়ে টের পাবে মাঝরাত্তিরে ভিজে যাওয়া সবুজ ঘাসের স্পর্শ। ডানে শুনতে পাবে বয়ে যাওয়া কোনো সরু নদীর তীব্র স্রোতের শব্দ। বায়ে শুনবে ঘন জঙ্গল হতে কোনো রাতপাখির চিৎকার। পেছনে দাড়িয়ে থাকবে বিশালাকার দৈত্যের মত কোনো পাহাড়। আর সামনে? সামনে থাকবে একটা ছোট্ট বাঁশঝাড় যার মাথায় দেখবে পরিপূর্ণ একখানা চাঁদ।
আমার হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া কিংবা আরও দশটি বছর বাঁচার তীব্র আকাঙ্খার মত যদি তখন মুখ তুলে তাকাও আকাশের দিকে,অস্ফুট স্বরে হেসে উঠবে তুমি। এত রূপ আগে কখনো দেখোনি তুমি। আকাশ ভরা যে তারায় তারায়। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রে ছেয়ে গেছে সে আকাশ। রাতপাখিরা ছুটোছুটি করছে সে আকাশে। জমিনে তাকালে দেখবে,জ্যোছনার আলোয় ছেয়ে গেছে সে বিস্তীর্ণ প্রান্তর।
এতোসবের মাঝে যখন আমার কথা মনে পড়বে,পাগলের মত খুঁজবে তুমি আমায়। কিন্তু,ততক্ষণে যে আমি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছি..!!
Comments
Post a Comment