নিকোটিন


সেদিন চৈত্রমাস ছিলো। প্রচন্ড দাবদাহে তোমার দোরের চৌকাঠে দাড়িয়ে ছিলাম অনাহুতের মত। একটা কাঠঠোকরা পাখি তোমার দরজায় ফুটো তৈরি করেছে। আমি সে ফুটো দিয়ে তাকিয়েছিলাম দীর্ঘক্ষণ।

বাইরে কি সত্যিই দাবদাহ ছিলো? তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে। আমি উত্তর দিতে পারিনি। কেননা,পুরোটাই তো তোমায় দেখার ছুতো ছিলো..!!
 
ছুতোয় ছুতোয় সুতোর জট লাগে। তুমি-আমি সে জটে ফেঁসে গেছি। আমার ভীষণ ভয়,গলায় ফাঁস লেগে মারা যাবো না তো? তুমি তো কাঁথা বুনো,নকশীকাথা। তোমার উচিত জট পাকানো সুতোগুলো খুলে একটা কাঁথা সেলাই করা। প্রতি সুঁইয়ের খোঁচায় ফুটিয়ে তুলবে কিছু না বলা কথা। সেই কথার তোড়ে যখন তীব্র শীত নামবে,তখন কাঁথাটা গায়ে জড়িয়ে হাঁটা দিবো মেঠো পথ ধরে। আমার তো শাল নেই,কাঁথাই ভরসা।
 
যদি দেখো তাতেও আমার শীত মানছেনা,তখন একবার আমার মুখের দিকে তাকিয়ো। সাথে সাথে প্রচন্ড ঘেন্নায় আমার চেহারা থেকে মুখ ফিরিয়ে মাটির দিকে তাকাবে তুমি। দেখবে,সবুজ ঘাসে তখনও একটা জ্বলন্ত সিগারেট পরে আছে।

Comments

পোস্টটির দর্শক সংখ্যা-

সমস্ত পোস্টের তালিকা-

অনলাইনে আছেন-

4k এর অধিক পাঠকের জন্য অগনিত শুভেচ্ছা। সাবস্ক্রাইব করতে পারেন-


Free Updates to your Inbox
Follow us:
facebook twitter gplus pinterest rss