সন্ধ্যাবতীর চিঠি

আমি এক যুগ অপেক্ষা করেছি তোমার জন্যে। তুমি যেদিন একুশে পা রেখেছিলে,আমি ভাঙা কাঁচের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলাম এক নজর তোমায় দেখতে। তোমার সাদা পাড়ের নীল শাড়ির জমিনে যৌবনের যে উন্মত্ততা বইছিলো,আমি তাতে নিজের অনধিকার অস্তিত্ব উপলব্ধি করেছিলাম।
সন্ধ্যাবতীদের চামড়া উজ্জল হয় না। উজ্জল হয় স্বর্গপরীদের,যারা অপেক্ষা করে দেবদূতদের জন্যে। আমার নেশা কেটে গেছে,আমি দেবদূত নই। তোমার শ্যামলা রংয়া গায়ের মিস্টি গন্ধে প্রত্যেক সন্ধ্যায় আমি পুজো করতে চাই তোমাকে। গঙ্গার পবিত্র পানিতে তোমার ভেজা চুলের ঝাপটা খেতে চাই নাকে মুখে। আমার ছড়ে যাওয়া পায়ের রক্তে আলতা রাঙা করতে চাই তোমার পা জোড়া। আমি চাই,সন্ধ্যাবতী প্রতি সন্ধ্যায় একবার আমার দিকে তাকিয়ে হাসুক। মাঝরাত্তিরে দখিনা বাতাসে হাঁটুক আমার বাহু ধরে। আমি চাই,সন্ধ্যাবতী আমাকে এত এত গল্প বলুক। আমি সেসব গল্প যত্ন করে লিখে রাখবো ভবিষ্যতের অনাগতদের জন্যে। তারা একদিন জানবে,সন্ধ্যাবতী নামের একজন শ্যামলা রংয়া দেবী ছিলো একসময়।
সন্ধ্যাবতী কি আছো এখনও? জানি তোমার অস্তিত্ব নেই। কিন্তু তুমিরূপী কেউ না কেউ তো আছে। সে ই বা কোথায়? জানলে তাকে বলে দিও,কেউ পুজোর ফুল নিয়ে দাড়িয়ে আছে দোরগোড়ায়।
ইতি,
ভবঘুরে
Comments
Post a Comment