পক্ষধর

একদিন হয়তো কোকিলবেশে কোনো কাক এসে হাজির হবে। তুমি দু'দানা ভাত ছিটিয়ে বলবে,"হতচ্ছাড়া,কিচ্ছুটি খেতে পায় না।" কিংবা চতুর কাককে আপন ভেবে কোলে তুলে নেবে। নিঃসঙ্গ আরেক পাখি তখনও সন্ধ্যা জুড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে সে শহরে,যে শহরে ভাত ছেটানোর মত কেউ নেই।
তুমি মায়াবী,হয়তো অপ্সরী। ঘরের খাঁচায় পাখি পালো। বন্দী পাখিরা তোমায় সঙ্গ দেয়,বেশ সুখী তুমি। হয়তো জনাকয়েক পাখিও তাতে সুখী। কিন্তু,তাতে কি সব পাখির স্বাদ মেটে?
ভেবে দেখো উড়ে যাওয়া সে পাখির কথা,গেয়ে দেখো সে পাখির গান,যে পাখি ভরসন্ধ্যায় তোমার জানলায় এসে উঁকি দিয়ে যায়। একদিন হয়তো সে পাখির ডানা থাকবে না। ব্যস্ত রাস্তার কোনো এক আবর্জনায় পড়ে থাকবে সে অথবা কোনো বনে খুশি মনে উড়ে বেড়াবে।
কিন্তু,তুমি? তুমি কি বন্দী পাখিদের ভালোবাসায় খুশি থাকতে পারবে আজীবন? তারা কি শতবর্ষীয় সে সন্ধ্যায় তোমারই জানলায় বসে লুকিয়ে দেখবে তোমায়?
হয়তো না,কেননা সে বিশেষ সন্ধ্যার কথা শুধু পক্ষধররাই জানে..!!
Comments
Post a Comment