নিঃশব্দাঙ্গতা
তোমার বিরুদ্ধে আমার সহস্র অভিযোগ। অভিযোগগুলো বেশিরভাগই অভিমানের। দীর্ঘকাল আমি তোমার অভিসারের অপেক্ষায় ছিলাম। আদতে দেখাও দাওনি কখনো। কিংবা আমার পাশ দিয়েই হেঁটে গিয়েছো,লক্ষ্যই করিনি।
প্রতি ভোরে ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়াই,শীতের হিমেল হাওয়া আমার হাড় কাঁপিয়ে দেয়। আমি সূর্যোদয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে হাসতে থাকি,তখনও আঁধার পুরোপুরি কাটেনি। নীল রং ছুড়তে থাকা আকাশের দিকে তাকাই,প্রার্থনা করি তোমার জন্যে। প্রার্থনা করি জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ পড়ে থাকা সময়ের জন্য,সে সময়টাতে যেন অতিরিক্ত একজোড়া হাত আমায় আগলে রাখে।
আমি সে হাতজোড়া খুব করে চাইছি। এই প্রচন্ড ব্যস্তজীবনে দেহে একটু হাওয়ার কাঁপন লাগাতে চাই। বদ্ধ ঘরের মৃদু আলো থেকে রৌদ্রজ্জল দুপুরে চোখ মেলতে চাই,কীবোর্ড থেকে আঙুল উঠিয়ে তোমার আঙুল ধরতে চাই। প্যাডেল মারা সেই সিট হতে তোমার পাশে বসে মহাসড়কে দুরন্ত গতিতে ছুটতে চাই। আমি প্রতি প্রশ্বাসে তোমার গায়ের গন্ধ নিতে চাই।
এতসব চাওয়ার অপূর্ণতায় অভিমানের অভিযোগটা কি স্বাভাবিক না? যাদের চেয়েছি,কাউকে পাইনি পাশে। কল্পনাপ্রেমিকদের প্রেমিকা থাকে না। তার বদলে যারা থাকে তারা সশব্দে প্রেমকাব্য গিলে খায়,সঙ্গ চাইলে ভুলে যায়। নিঃশব্দে দৃষ্টিহীনতার ভানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই আমার। অভিযোগ আমার তোমার প্রতি।
শুধু একটা অনুরোধ,শেষ মুহূর্তে ধারে এসো না। আমি নিঃশব্দের নিঃসঙ্গতায় ওপারে যেতে চাই।
Comments
Post a Comment