প্রেক্ষাপট

মাঝেমধ্যে জানলার গরাদ ধরে দাঁড়াই,মেঘদের আর্তনাদ শুনি। কখনো বৃষ্টির ঝাপটা এসে কাচের টুকরোর মতো মুখে বিঁধে। আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি। শুনেছি বৃষ্টির ছাট নাকি ঘামাচি তাড়ায়। আমি গরাদের ফাঁক দিয়ে মুখ বাড়ানোর চেষ্টা করি। আমার মুখে আবার বেজায় ব্রণ।

যেদিন পূর্নিমা ওঠে,আমি তেপান্তরে পা মেলে বসে থাকি। আকাশ পানে তাকাই। ও আকাশে সাদা সাদা মেঘে চন্দ্রকিরণ পড়ে,রাতের আকাশ যেন তুলোময়।

হয়তো পরদিনই চাঁদ আর দেখা দেয় না। সেদিন ঘোর আঁধারে ল্যাম্পপোস্টের নিচ দিয়ে হেঁটে যাই। যদিবা ঝিড়িঝিড়ি বৃস্টি ঝরে,থমকে দাঁড়াই। বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় যেন এক একটা হীরের কনা..!! আমি সম্মোহিতের মত তাকিয়ে থাকি,আমার চোখ থেকেও যেন হীরের গলিত স্রোত বয়।

কোনোদিন প্রচন্ড রোদ উঠে। আমি চুপ করে বটবৃক্ষের নিচে বসে থাকি। গোটা তিনেক কাক উড়োউড়িতে কিংবা একটা নেড়িকুকুর জিভ বের করে আমায় সঙ্গ দেয়।

পরিবেশ রূপ বদলায়। আমিও রূপ বদলাই। চুলগুলো বেজায় বড় হচ্ছে। বাউলের চুল হয়ে যাবে কয়দিন পর। প্রেয়সীর চুলও বেজায় বড়। চুলে চুলে কাটাকাটি।

যখন দোর বন্ধ ঘরে চুপ করে শুয়ে থাকার ভান করি,তখন কল্পনা করি-
হয়তো কোনো একদিন মাঝরাতে অতন্দ্রী এসে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলবে,"বাইরে চলো। জ্যোছনা ছেয়েছে তেপান্তরে।"

হয়তো যাবো নয়তো তাকে ফেরত পাঠাবো। হয়তো নিজের উপর বিশ্বাস নেই।

আজকাল আবার মস্তিস্ক স্বার্থপরের মতো আচরণ করতে বেজায় পারদর্শী..!!

Comments

পোস্টটির দর্শক সংখ্যা-

সমস্ত পোস্টের তালিকা-

অনলাইনে আছেন-

4k এর অধিক পাঠকের জন্য অগনিত শুভেচ্ছা। সাবস্ক্রাইব করতে পারেন-


Free Updates to your Inbox
Follow us:
facebook twitter gplus pinterest rss