সন্ধ্যাবতী ও একজন ভবঘুরে

সন্ধ্যা যত ধীরে নামে,সন্ধ্যাবতীও তত ধীরে নদীর জলে নামতে থাকে। সূর্য ডুবে গেলে স্নান করা আর সাজে না।

ভবঘুরে ঠিক তখনই ঘাটে এসে দাঁড়ায়। নদীর ঘাট থেকে সূর্যাস্ত বেশ দেখা যায়। সন্ধ্যাবতী ডুব দিয়ে উঠে,ভবঘুরেকে দেখে চেঁচিয়ে বলে,অবলার দিকে লোলুপ চোখ তোমার সাজে না। দূর হও পাগলা।

ভবঘুরে ফ্রয়েডীয় জীবনাদর্শনে বিশ্বাসী নয়। সূর্যাস্তের কামিনী এবেলা জুটবে না। সে গল্প ফাঁদে। বগা-বগী,টোনা-টুনির গল্প। গল্প বেশি জমে না। সন্ধ্যাবতী আগ্রহী নয়। সূর্য ডুবেছে,স্নান শেষ করা উচিত। কিন্তু,পাড়ে যে ভবঘুরে দাঁড়িয়ে..!!

ভবঘুরে নির্মল বাতাস টেনে নেয়। সে বাতাসে সন্ধ্যাবতীর ভেজা চুলের গন্ধ ভেসে আসে নাকে। বুক ভরে শ্বাস নেয় সে,যেন সন্ধ্যাবতীর প্রতিটি শিরা-উপশিরাও শোষিত হয়।

এদিকে সন্ধ্যাবতী অর্ধনগ্ন দেহে ঘাট ছেড়ে উঠতে সাহস পায় না। ভবঘুরেদের বিশ্বাস নেই। ভবঘুরেরও সন্ধ্যাবতীকে নিয়ে চিন্তা নেই। সে চোখ বুজে বুক ভরে বাতাস টানছে,সন্ধ্যাবতীর গায়ের গন্ধ।

কিন্তু,হঠাৎ সে গন্ধে ভাটা পড়ে। আরেকটা গন্ধ নাকে লাগছে। ভেজা মাটির সোঁদা সোঁদা গন্ধ।

ভবঘুরে চোখ মেলে তাকায়,বড্ডো অবাক হয়। আকাশ মেঘে কালো করে জমিনে ঘুটঘুটে আঁধার নেমে এসেছে। নদীর পাড়ে জোর হাওয়া বইছে।

চোখ বুঁজে বাতাস টানতে গিয়ে ভবঘুরে টেরই পায় নি,কখন যে সন্ধ্যাবতী ধীরে ধীরে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে..!!

Comments

পোস্টটির দর্শক সংখ্যা-

সমস্ত পোস্টের তালিকা-

অনলাইনে আছেন-

4k এর অধিক পাঠকের জন্য অগনিত শুভেচ্ছা। সাবস্ক্রাইব করতে পারেন-


Free Updates to your Inbox
Follow us:
facebook twitter gplus pinterest rss