অনুভূতি

হয়তো অনুভূতিগুলো সময়ের উপর নির্ভরশীল। 

ব্যস্ত শহর যখন ক্লান্ত হয়ে ঘুমোয়,কেউ কেউ মাঝরাত্তিরে জান
লার পাশে বসে অন্ধকারে অতীতের কিছু গল্প ফোঁটায়। 

হয়তো সেখানে থাকে একরত্তি বিরক্তি নয়তো পুরোনো কিছু সুখস্মৃতি। 

হয়তো টিনেজের সেই ক্লাস ফাঁকির পর ক্রিকেট খেলা নয়তো প্রেয়সীর সাথে হারানো অনুভূতি,নয়তো বন্ধুর সাথে হাসতে হাসতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ধুলো মাখানো। 

অনুভূতির গল্পগুলো ঘুরে বেড়ায় এখানে সেখানে। 

বুড়িগঙ্গার নোংরা পানির পাশেই বুক ভরে বাতাস নেয়ার গল্প। সবুজ মাঠটার ঠিক মাঝখানে বসে থাকার গল্প। একা রাস্তায় চলতে চলতে হঠাৎ ইটের টুকরোয় লাথি মারার গল্প। 

গল্পগুলো জমতে থাকে ফেসবুকের দেয়ালে নয়তো পর্ণসাইটে ঘোরাঘুরি করে। 

অতি উত্তেজনায় শীথিল হওয়া দেহটাও কারো হাত ধরার তীব্র ইচ্ছা অনুভব করে। অনুভব করে প্রচন্ড গতিতে ছুটে চলা বাসের জানালায় তীব্র বাতাস। অনুভব করে সেই বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতৃপ্ত ইচ্ছেগুলো। 

ইচ্ছে করে তীব্র চিৎকারে বলতে,ফিরিয়ে দাও সেই সময়;ভোরবেলা হিমেল হাওয়ায় হেঁটে যাচ্ছি বাংলা স্যারের কাছে। পথের দুধারে শিমুল গাছের সারি,পথটা লাল হয়ে গেছে শিমুল ফুলে।

পথটায় আরেকবার হাঁটতে আমি অনুভূতিকে ডাকি। সে সাড়া দেয় না। আমায় নির্ঘুম জাগিয়ে রাখে। 

আমি হতচ্ছাড়া জেগে থাকি। 

একদম নির্ঘুম।