কঙ্কাল
সে তোমার। আমার নেই।
অযাচিত এক কাকতাড়ুয়া ঘুরে বেড়ায় শহরে।
মাঝরাত্তিরে। নক্ষত্রের ছায়া দেখে। নক্ষত্রের ওপাশ হতে ঈশ্বর উঁকি দেন। হাসেন। ভাবেন,বেশ একটা গল্প হয়েছে। আরো কিছুক্ষণ দেখা যাক।
অযাচিত এক কাকতাড়ুয়া ঘুরে বেড়ায় শহরে।
মাঝরাত্তিরে। নক্ষত্রের ছায়া দেখে। নক্ষত্রের ওপাশ হতে ঈশ্বর উঁকি দেন। হাসেন। ভাবেন,বেশ একটা গল্প হয়েছে। আরো কিছুক্ষণ দেখা যাক।
কখনো বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে। ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় ফোঁটাগুলোকে হীরের কণা মনে হয়। কাকতাড়ুয়া হেঁটে যায়।
সামনেই কানা গলি। পাশে নর্দমা,গন্ধ নাকে আসেনা।
কেউ বীভৎসভাবে দেহ বেঁচতে পাশ দিয়ে চলে যায়। কাকতাড়ুয়া তাতে বিভ্রান্ত হয়না। খদ্দেরদের এর থেকেও বীভৎস লাগে। এর চেয়ে নর্দমার গন্ধ ভালো।
চার বছর আগে কাকতাড়ুয়া বিপরীত একটা গন্ধ পেতো।
কোমল গায়ের প্রতিটি ইঞ্চির গন্ধ এখনও নাকে বয়ে যায়। যদিও গন্ধের উৎস বেশ আলাদা। এ গন্ধে এখন বিষাদ ছড়িয়ে আছে।
গলির মাথা থেকে নক্ষত্রদের বেশ পরিষ্কার দেখা যায়। জ্বলজ্বলে নক্ষত্রগুলো সুখী সুখী,যদিও বেশিরভাগই নিভু নিভু। ওরা বিষাদে ভোগে।
বন্ধুবর নক্ষত্রের বিষাদ নিয়ে মুক্তগদ্য রচেছেন। কাকতাড়ুয়া সে বিষাদের অর্থ বোঝেনা। বুঝতে হলে বহু পথ হাঁটতে হবে। কিন্ত হাঁটার জো নেই।
সামনেই যে কানা গলি...!!
Comments
Post a Comment