হ্যাংলা

হ্যাংলা একদিন ডুব দেবে।

কাকতাড়ুয়া ধরনের ডুব।

তুমি পেছন ফিরে না তাকিয়েও বুঝতে পারো,কাকতাড়ুয়া তোমায় দেখছে।

সত্যি সত্যিই কিন্তু কাকতাড়ুয়া দেখছে। হ্যাংলার মত।

কেউ হয়তো একদিন ঢিল ছুড়ে পাতিলটা ফুটো করে দেবে। কাকতাড়ুয়ার একটা চোখ নাই।

তাও সে হ্যাংলার মত তোমাকেই খুঁজবে।

বড় ঢেলা পড়লে মুখটাই চৌচির হয়ে যাবে। তখন আর দেখতে পাবেনা। কিন্তু তাও,হ্যাংলার মত সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে আর তোমার হাঁটার শব্দ শুনবে।

ওহ্ হো..শব্দ তো শোনা যাবেনা। মাথাটাই ত ভেঙে চৌচির করে দিয়েছে।

দুহাতের উপর হয় বাবুই কিংবা শালিক বসবে। কাকও বসতে পারে।

তোমার চোখ কিন্তু কাকের চোখের মতই।

রাগ করোনা। কাকের চোখ অন্য পাখির চেয়ে ঢের ভালো।

কাজলকালো টলটলে চোখ।

বাতাসে ফরফর করে জামাগুলো ছিড়তে থাকবে। একদিন হয়তো সমস্তটাই উড়ে যাবে। তুমি তাকিয়ে হাসবে। বাঁশের কাঠামো ছাড়া চোখে কিছুই পড়বেনা।

তাও সেই কাঠামোই হ্যাংলার মত তোমার দিকেই ঝুঁকে থাকবে।

পাখিগুলো এখন আর ভয় পায়না। মাটিতে গেঁথে থাকা কাঠামোর উপর থেকে ওদের ভয় সরে গেছে। দিব্যি এসে বসে বসে মলত্যাগ করে। সেই মল নিয়েই হ্যাংলার মত দাঁড়িয়ে থাকে কাঠামোটা।

তোমার চোখে ঘুম আসেনা। জেগে আছো এখনও। জেগে থাকো। কাকচোখে ঘুম মানায় না।

আমিও হ্যাংলার মতই দাঁড়িয়ে থাকবো। কেননা,

তুমি যে অতন্দ্রী,আমি অযাচিত এক কাকতাড়ুয়া।

Comments

পোস্টটির দর্শক সংখ্যা-

সমস্ত পোস্টের তালিকা-

অনলাইনে আছেন-

4k এর অধিক পাঠকের জন্য অগনিত শুভেচ্ছা। সাবস্ক্রাইব করতে পারেন-


Free Updates to your Inbox
Follow us:
facebook twitter gplus pinterest rss