কে ও?
মায়া মায়া চোখ,আবেগপূর্ণ ঠোঁট দুটি যেন ঈষৎ কাঁপছে। চেহারাটা কেমন যেন রক্তশূন্য ফ্যাকাশে। দেহ হতে যেন রক্ত সরে গিয়েছে। বোধহয় অতিরিক্ত ঠান্ডায় ই এমন টা হয়েছে।
কিন্তু,এজন্যই অসম্ভব সুন্দর লাগছে ওকে।
বুক থেকে কাপড়খানা একটু সরে গেলো। ওর সোনালী চুলগুলো বাতাসে উড়ছে। সবুজ ঘাসগুলো যেন ওর পায়ের পাতার কোমল স্পর্শে সন্জীবনী হয়ে উঠেছে।
এ কি দেবী?
এরকম নারী পেলে যে কোনো পুরুষই রাজ্য ছেড়ে সংসারী হতে চাইবে।
অজানা গাছগুলো ওর রূপের অভ্যর্থনা জানাতেই বুঝি লাল ফুলে মাটি ছেয়ে দিয়েছে।
চারদিকে অগনিত পাইন গাছের সারি;ঝিরিঝিরি পাতার আড়ালে পূর্নিমার চাঁদ কোটর হতে বেড়িয়ে এলো। মাথার উপর দিয়ে কয়েকটা বাদুড় উড়ে গেলো। হঠাৎ হঠাৎ পাখির ডানা ঝাপটানো ও মৃদু কলরবের শব্দ।
প্রতিদিনই আসি এখানে,বিকালে। আজ যেন কিভাবে সন্ধ্যা থেকে রাত হয়ে গেলো।
গীর্জার ঘন্টাধ্বনি বাজছে,মাঝরাতের আকাশে পরিপূর্ণ পূর্নিমার চাঁদ।
প্রকৃতি স্বাভাবিক;অস্বাভাবিক শুধু এই অপরূপ মেয়ে। মেয়েটি এখনও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কে ও?
তার চোখে না পাওয়া ভালোবাসার আকুতি,আমার মনেও না পাওয়ার আকুতি।
আমি নিঃশব্দে কবরস্থান ত্যাগ করলাম।
Comments
Post a Comment